শিরোনাম:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অর্থ আত্মসাত ও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তিতে ঘুষ দাবি : দুদকের অভিযান

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অর্থ আত্মসাত ও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তিতে ঘুষ দাবি : দুদকের অভিযান

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করতে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে সোমবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে দুদক টিম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত ৬টি প্রকল্পের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে জানতে পারে, মোট বাজেটের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা অর্থ ছাড় হয়েছে গৃহীত ১২ হাজার ক্লিপ ও প্রস্তুতকৃত একটি ডকুমেন্টারির জন্য। টিম অপর একটি প্রকল্পের বই ক্রয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন প্রক্রিয়ার রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে, যা বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত অসঙ্গতির সত্যতা যাচাই করা হবে।

অপর অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে দুদক টিম জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) থেকে রেকর্ডপত্র ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে। পর্যালোচনায় জামুকা’র একজন কর্মকর্তা আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার দালিলিক প্রমাণ থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধার গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ঘুষ দাবির সত্যতা পায়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওএমএস -এর চাল বিক্রয়, ফেয়ার প্রাইজ নির্ধারণ, খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা খাদ্য গুদাম সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। প্রাথমিক পর্যালোচনায় গুদাম থেকে ডিলারদের চাল সরবরাহে অনিয়ম টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে ওই অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি এবং দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম নগরীর মনসুরাবাদস্থ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম সেবাগ্রহীতার ছদ্মবেশে পাসপোর্ট সম্পাদন প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম নজরদারি করে এবং সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে। এরপর পাসপোর্ট আবেদনকারীদের দাখিলকৃত প্রমাণিক রেকর্ডপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গতি এবং রোহিঙ্গা শনাক্তকরণ সংক্রান্ত কতিপয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক। সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি বন্ধে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি দুদক টিমকে জানান। উপস্থিত সেবাগ্রহীতারা দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানায়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ০৩ জন গ্রেফতার

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অর্থ আত্মসাত ও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তিতে ঘুষ দাবি : দুদকের অভিযান

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের অভিযানে অন্যান্য মামলার আসামীসহ ০৩ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,এসআই (নিঃ) মাহবুব আলম ফকির সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান মামলার আসামী ১। মোঃ জবেদ আলী (৭২) (আওয়ামীলীগ সমর্থক), পিতা-মৃত কাশেম আলী, মাতা-মৃত তামবিয়া, সাং-মির্জাপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

এসআই (নিঃ) আল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৫) (আওয়ামীলীগ সমর্থক), পিতা-মৃত হাফিজ উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ ফুলবানু, সাং-চর কালিবাড়ী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ আলম (২৫), পিতা-মৃত মিজান, মাতা- অজুফা বেগম, সাং-মিন্টু কলেজ রোড, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

প্রতারণার দুই লাখ টাকাসহ তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অর্থ আত্মসাত ও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তিতে ঘুষ দাবি : দুদকের অভিযান

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রতারণার অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ছবি : বাসস

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মো. লিখন মিয়া (৩৩), মো. রানা মিয়া (৩০) এবং মো. সুমন মিয়া (২৮)। তারা গাবতলী উপজেলার কালাইহাটা সরকারপাড়ার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের সদস্য। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন।

পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন জানান, গত বছর তাছলিমা আক্তার নামে এক নারী তাঁর বাবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গ্রেফতার হওয়া তিনজন আদালতের আদেশ, লাশ উত্তোলন, ডাক্তারি প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন খরচের কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে সিআইডি বগুড়া জেলার একটি দল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে প্রতারণায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে।

এ ঘটনায় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৬৮, তারিখ- ২৪ এপ্রিল ২০২৫। মামলায় পেনাল কোডের ৪০৬, ৪২০, ৪১১ ও ১৪ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।

মুক্তাগাছা তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টা! ভেস্তে গেছে আড়াই লাখ টাকার সমঝোতা বৈঠক 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অর্থ আত্মসাত ও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তিতে ঘুষ দাবি : দুদকের অভিযান
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বানিয়াকাজী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫) বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলার বানিয়াকাজী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত আনোয়ার ইসলাম উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বানিয়াকাজী গ্রামের এছাহাক আলীর পুত্র। সম্পর্কে শিশুটির দাদা হওয়ার সুবাদে তিনি প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। বুড়ো বাবা-মা ও মাতৃহীন মেয়েকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন। ঘটনার দিন শিশুটি পড়তে বসে। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে অভিযুক্ত আনোয়ার ঘরে প্রবেশ করে একা পেয়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিদ্যুৎ চলে এলে আনোয়ার তাকে ছেড়ে দেয়।  শিশুর দাদী অভিযুক্ত আনোয়ারকে পালিয়ে যেতে দেখে। পরে শিশুটি তার দাদীকে সব জানিয়ে দেয়।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আনোয়ার আর তার পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকে। পরবতীর্তে শিশুটির দাদা এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানালে তারা বুধবার (২৩ এপ্রিল) পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে গ্রাম্য  শালিস বৈঠকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করে। এতে শিশুর চাচা প্রতিবাদ জানালে শালিস বৈঠকটি ভেস্তে যায়।
শিশুর বাবা জানায়, বৈঠকে টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা করতে না পেরে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাসায় এসে হুমকি দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শালিসের বিষয়ে জানতে পেরে ফোর্স পাঠাই। ভিকটিম ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।