মুক্তাগাছা তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টা! ভেস্তে গেছে আড়াই লাখ টাকার সমঝোতা বৈঠক

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের অভিযানে অন্যান্য মামলার আসামীসহ ০৩ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,এসআই (নিঃ) মাহবুব আলম ফকির সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান মামলার আসামী ১। মোঃ জবেদ আলী (৭২) (আওয়ামীলীগ সমর্থক), পিতা-মৃত কাশেম আলী, মাতা-মৃত তামবিয়া, সাং-মির্জাপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।
এসআই (নিঃ) আল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৫) (আওয়ামীলীগ সমর্থক), পিতা-মৃত হাফিজ উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ ফুলবানু, সাং-চর কালিবাড়ী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।
এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ আলম (২৫), পিতা-মৃত মিজান, মাতা- অজুফা বেগম, সাং-মিন্টু কলেজ রোড, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রতারণার অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ছবি : বাসস
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মো. লিখন মিয়া (৩৩), মো. রানা মিয়া (৩০) এবং মো. সুমন মিয়া (২৮)। তারা গাবতলী উপজেলার কালাইহাটা সরকারপাড়ার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের সদস্য। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন।
পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন জানান, গত বছর তাছলিমা আক্তার নামে এক নারী তাঁর বাবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গ্রেফতার হওয়া তিনজন আদালতের আদেশ, লাশ উত্তোলন, ডাক্তারি প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন খরচের কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে সিআইডি বগুড়া জেলার একটি দল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে প্রতারণায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে।
এ ঘটনায় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৬৮, তারিখ- ২৪ এপ্রিল ২০২৫। মামলায় পেনাল কোডের ৪০৬, ৪২০, ৪১১ ও ১৪ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ ফারহানা ফেরদৌসের বাসায় চুরির ঘটনায় জুয়েল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছ থেকে চুরি হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। বুধবার ভোররাত ৪টায় জেলার তারাকান্দা উপজেলায় যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ চোরকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার মুমিনুন্নিসা এক্সেল টাওয়ারের ১০ তলার বাসিন্দা স্পেশাল জজ ফারহানা ফেরদৌসের ফ্ল্যাটের দরজার তালা কেটে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার জুয়েল মিয়া নগরীর কালীবাড়ী পুরাতন গুদারাঘাট এলাকার মৃত বাবুল মিয়া ও ফিরোজা বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ১২টি চুরির মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ডিবি ও থানা-পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় চুরি হওয়ার ১৬ ঘণ্টার মধ্যে চোরসহ মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্ল্যাট বাসার দরজার তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ ২ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১৫টি শাড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নগরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।