শিরোনাম:

কিশোরগঞ্জে ওসির চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে

কিশোরগঞ্জে ওসির চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে

ছবি : বাসস

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম। তিনি হারিয়ে যাওয়া এক বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনি (১৫) কে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ইটনা থানায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনীর বাবা মো. জসিম মিয়া এবং মা মোছা. বেগম আক্তার এর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনিকে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদনী একা একা হেঁটে ইটনা থেকে মিঠামইন থানায় গিয়ে ওসির রুমে ঢুকে। তখন ওসি শফিউল আলম তার নাম, ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দিতে পারেনি চাঁদনী। পরে দেখা যায় সে বাক প্রতিবন্ধী।

তখন চাঁদনীকে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে খাওয়া-দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করেন ওসি শফিউল আলম। মেয়েটি ছবি বিভিন্ন থানা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। তারপরও যখন কোনোভাবে চাঁদনীর পরিবারের সন্ধান মেলেনি তখন ওসি বাজিতপুর উপজেলা থেকে বাক প্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারেন এমন দুইজন লোক এনে তাদের চাঁদনীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

চাঁদনীর হাতের ইশারা ইঙ্গিতে বুঝা যায় চাঁদনির বাড়ি ইটনার দিকে তারপর চাঁদনীকে নিয়ে ওসি শফিউল আলম ইটনার পথে রওনা হন। ইটনায় অনেক খোঁজাখুঁজি পরে চাঁদনীর বাড়ি ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এরশাদ নগরে জানা যায়। তখন চাঁদনীর পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম এবং ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল।

বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনীর বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, বাড়ি থেকে অভিমান করে লুকিয়ে চলে গিয়েছিল সে। আমরা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। আমার তিনজন মেয়ের মধ্যে দুইজন বাক প্রতিবন্ধী।

এ সময় ওসি শফিউল আলম বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মেয়েটাকে তার পরিবারের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। মেয়েটা আমার রুমে যাওয়ার পর যখন দেখলাম বাকপ্রতিবন্ধী তখন খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। বাজিতপুর থেকে বাকপ্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারে এমন দুইজন লোক এনে তারপর খোঁজখবর নিয়ে পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ০৩ জন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জে ওসির চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের অভিযানে অন্যান্য মামলার আসামীসহ ০৩ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,এসআই (নিঃ) মাহবুব আলম ফকির সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান মামলার আসামী ১। মোঃ জবেদ আলী (৭২) (আওয়ামীলীগ সমর্থক), পিতা-মৃত কাশেম আলী, মাতা-মৃত তামবিয়া, সাং-মির্জাপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

এসআই (নিঃ) আল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৫) (আওয়ামীলীগ সমর্থক), পিতা-মৃত হাফিজ উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ ফুলবানু, সাং-চর কালিবাড়ী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ আলম (২৫), পিতা-মৃত মিজান, মাতা- অজুফা বেগম, সাং-মিন্টু কলেজ রোড, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

প্রতারণার দুই লাখ টাকাসহ তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি

কিশোরগঞ্জে ওসির চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রতারণার অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ছবি : বাসস

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মো. লিখন মিয়া (৩৩), মো. রানা মিয়া (৩০) এবং মো. সুমন মিয়া (২৮)। তারা গাবতলী উপজেলার কালাইহাটা সরকারপাড়ার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের সদস্য। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন।

পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন জানান, গত বছর তাছলিমা আক্তার নামে এক নারী তাঁর বাবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গ্রেফতার হওয়া তিনজন আদালতের আদেশ, লাশ উত্তোলন, ডাক্তারি প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন খরচের কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে সিআইডি বগুড়া জেলার একটি দল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে প্রতারণায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে।

এ ঘটনায় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৬৮, তারিখ- ২৪ এপ্রিল ২০২৫। মামলায় পেনাল কোডের ৪০৬, ৪২০, ৪১১ ও ১৪ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।

মুক্তাগাছা তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টা! ভেস্তে গেছে আড়াই লাখ টাকার সমঝোতা বৈঠক 

কিশোরগঞ্জে ওসির চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বানিয়াকাজী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫) বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলার বানিয়াকাজী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত আনোয়ার ইসলাম উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বানিয়াকাজী গ্রামের এছাহাক আলীর পুত্র। সম্পর্কে শিশুটির দাদা হওয়ার সুবাদে তিনি প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। বুড়ো বাবা-মা ও মাতৃহীন মেয়েকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন। ঘটনার দিন শিশুটি পড়তে বসে। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে অভিযুক্ত আনোয়ার ঘরে প্রবেশ করে একা পেয়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিদ্যুৎ চলে এলে আনোয়ার তাকে ছেড়ে দেয়।  শিশুর দাদী অভিযুক্ত আনোয়ারকে পালিয়ে যেতে দেখে। পরে শিশুটি তার দাদীকে সব জানিয়ে দেয়।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আনোয়ার আর তার পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকে। পরবতীর্তে শিশুটির দাদা এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানালে তারা বুধবার (২৩ এপ্রিল) পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে গ্রাম্য  শালিস বৈঠকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করে। এতে শিশুর চাচা প্রতিবাদ জানালে শালিস বৈঠকটি ভেস্তে যায়।
শিশুর বাবা জানায়, বৈঠকে টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা করতে না পেরে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাসায় এসে হুমকি দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শালিসের বিষয়ে জানতে পেরে ফোর্স পাঠাই। ভিকটিম ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।