শিরোনাম:

সিলেট বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক লাখ দুই হাজার

সিলেট বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক লাখ দুই হাজার

আগামী ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ দুই হাজার ৮৭২ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৪২ হাজার ৫৩ জন এবং ছাত্রী ৬০ হাজার ৮১৯জন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৬৬ জন বেশি।

গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৬ হাজার ৬৮২ জন। গত বছর সিলেট বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৯ হাজার ৫৫৪ জন।

সিলেট বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার কেন্দ্র ১৫৪টি।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ আহাম্মেদ জানান, ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য ছয়টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষকদের সমন্বয়ে ১৯ টি বহিঃভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করতে বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

১৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে সিলেটে ৬০, সুনামগঞ্জে ৩৫, মৌলভীবাজারে ২৬ ও হবিগঞ্জে রয়েছে ৩৩টি।
মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৩ হাজার ৮৭০, মানবিকে ৭১ হাজার ৫১৯ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৭ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

যে কারনে মাত্র ১৯ দিনে কোতোয়ালি থানার ওসি ক্লোজড

সিলেট বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক লাখ দুই হাজার

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে দায়িত্ব নেওয়ার ১৯ দিনের মাথায় পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য ও অসদাচরণের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

সোমবার (২৩ জুন) রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়ার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। ফিরোজ হোসেন চলতি মাসের ৪ জুন কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগ দিয়েছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যোগদানের পর থেকেই থানার আওতাধীন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গত ১৭ জুন রাতে জিলা স্কুল মোড়ের একটি বাসায় ঢুকে মালিককে হাত-পা বেঁধে প্রায় ২৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।

এর পরদিন, শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ‘অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্স’-এ একটি মোবাইলফোন বিক্রির দোকানে চুরি হয়। তালা ভেঙে ২৮০টির বেশি মোবাইল সেট ও প্রায় ৮ লাখ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল।

এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দিনে-দুপুরে ছিনতাই, পথচারীদের মোবাইল ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অপরাধ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গেল (২২ জুন) বিকেলে নগরীর টাউন হল চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় ছাত্র ও যুবসমাজ। সেখানে তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

নাগরিক সমাজের নেতারা বলছেন, কোতোয়ালি মডেল থানা ময়মনসিংহ শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থানা। এখানে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা অবস্থিত। এমন একটি থানার ওসিকে মাত্র ১৯ দিনের মাথায় বদলির ঘটনায় নানা আলোচনা চলছে।

বদলির বিষয়ে বক্তব্য জানতে কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য জানা যায়নি।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, দায়িত্বে অবহেলা ছাড়াও থানার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়েও অসন্তোষ ছিল ঊর্ধ্বতন মহলে। সবমিলিয়ে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাকে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়ার মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন নারী

সিলেট বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক লাখ দুই হাজার

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের নাটক সাজান এক নারী। পরে থানায় মামলাও করেন তিনি। কিন্তু পরে তাকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রোববার (২২ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম দুমকি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা পেয়ে প্রতিবেশীর সহায়তায় এক যুবক ধর্ষণ করেন।

পরবর্তীতে পুলিশি তদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো প্রকার আলামত না পাওয়ায় আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী যুবক। সেই মামলায় কোহিনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীপক্ষের অন্য আসামিরা হলেন—কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, তাদের দুই মেয়ে, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম এবং স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ও ইউপি নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

রথযাত্রা উদযাপনে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

সিলেট বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক লাখ দুই হাজার

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিএমপিতে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন ২০২৫খ্রি.) সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি এর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপ ও নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রথযাত্রায় পিকেট পার্টি, টহল পার্টি, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল, ডিবি টিম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম, সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ট্রাফিক পুলিশসহ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে সভায় অবহিত করা হয়।

রথযাত্রা নির্ধারিত রুটে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া নামাজ ও আজানের সময় লাউড স্পিকার/মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ব্যাগ-পোটলাসহ রথযাত্রায় অংশগ্রহণ না করা, সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীর এই রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা। শুক্রবার বিকালে জনসমাগম বেশি হওয়ায় সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। রথযাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ে রথযাত্রা শুরু ও শেষ করতে রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। আমি আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় এই আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।

সমন্বয় সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পিপিএম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এছাড়া, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।

সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ সরওয়ার, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ এবং ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।