শিরোনাম:

সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৮৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত

সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৮৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত

লাতাকিয়া, তারতুস ও হোমস প্রদেশে নতুন সিরিয়ার সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সশস্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৮৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। ইরাকি সংবাদ পোর্টাল শাফাক নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা তাস এ খবর জানায়।

নিহতদের বেশিরভাগই আলাউইত সম্প্রদায়ের, যা দেশের জনসংখ্যার ১২ শতাংশ।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে এবং পাহাড়ি এলাকায় আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তাড়া করছে। ৬ মার্চ থেকে অভিযান চলাকালীন ২৫০ জনেরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হয়েছে। সরকারি বাহিনী ২৩১ জন সেনা হারিয়েছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দামেস্কের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এই সংঘর্ষই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার কার্যালয় জানায়, উপকূলীয় গভর্নরেটগুলোয় সহিংসতার পরিস্থিতি তদন্তের জন্য সাত সদস্যের একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ‘বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত অপরাধ’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান, সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর হামলা’ তদন্ত করার, অপরাধীদের সনাক্ত করার এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটি এই ঘটনাগুলোর কারণ, অবস্থান ও পরিস্থিতি’ তদন্ত করবে।

ময়মনসিংহে পিএমকে’র উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ওষুধ বিতরণ

সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৮৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত

ময়মনসিংহের পল্লীমঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) উদ্যোগে প্রায় চার শতাধিক অসহায় দরিদ্র মানুষকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে মেডিসিন, গাইনি, চক্ষু ও টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে খাগডহড় ব্রাঞ্চে সারাদিন ব্যাপী এ চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।

সেবা গ্রহীতারা জানান, পল্লীমঙ্গল কর্মসূচির এই মহতি উদ্যোগে আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় উপকৃত হচ্ছি, কারণ এখানে চিকিৎসা নিতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না। আমরা গরীব অসহায় যারা আছি তারা টাকার অভাবে অনেকে যথা সময়ে চিকিৎসা নিতে পারিনা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি’র উদ্যোগে আমরা যথা সময়ে চিকিৎসা সেবা পেয়েছি।

পল্লী মঙ্গল কর্মসূচী’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমাদের পল্লী মঙ্গল কর্মসূচী (পিএমকে) এর প্রধান নির্বাহী কামরুন্নাহার একজন মানবিক মানুষ, তাই অসহায় গরীবদের পাশে থাকার জন্যই এই চিকিৎসা সেবার মহতি উদ্যোগ নিয়ে প্রতিটি ব্রাঞ্চে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সারা দেশে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। আমরা যারা পল্লী মঙ্গল কর্মসূচিতে কাজ করছি এই মহতি উদ্যোগে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে সেবা প্রদানে দায়িত্ব পালন করে নিজেদের ধন্য মনে করছি সেই সাথে সকলের দোয়া কামনা করছি, আমরা যেন মানুষকে সবসময় এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যেতে পারি।

৯৯ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৮৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত

রাজধানীর বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৯ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ একুব আলী শেখ (৫১)।

মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ১১:৪৫ ঘটিকায় বনানী থানাধীন ১১ নং রোডের পশ্চিম মাথা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি চৌকস টিম।

ডিবি-গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক কারবারি ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বিক্রির উদ্দেশে বনানী থানার রোড নং-১১ এর পশ্চিম প্রান্তে সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফুটপাতে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্তস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৯৯ কেজি গাঁজাসহ একুব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি-গুলশান বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়,গ্রেফতারকৃত একুব আলী একজন পেশাদার মাদক কারবারি। সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুড়িগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বনানীসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করতো। উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশে সে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃতকে বনানী থানার মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৮৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, যেকোন দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো কর্মক্ষম বিপুল যুবশক্তি। আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ যুবশক্তিই পারে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখনই বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার এবং মূল্যবোধের সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই যুব সমাজ সংকল্প ও ঐক্যের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছে। জুলাই ছাত্র-যুব-জনতার গণঅভ্যুখান যুব সমাজ এবং তারুণ্যেরই বিজয়। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে।

উপদেষ্টা ২৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫” উদযাপন উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু এবং কিশোরদেরকে এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগস বা New Psychoactive Substances (NPS) এর আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। নতুন নতুন এসব মাদক নিয়ে আমাদেরকে নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। এসব মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এগুলোকে আইনের তফশিলভুক্ত করার পাশাপাশি কৌশলগত নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান সরকারের একান্ত সদিচ্ছায় ইতোমধ্যে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা-২০২৪’ প্রণীত হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১ম ব্যাচের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে আভিযানিক ঝুঁকি হাসের পাশাপাশি অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় আরও সাফল্য আসবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সাতটি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। তাছাড়া মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি বহুমাত্রিক সমস্যা যা শুধু আইনের প্রয়োগ দ্বারা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মাদকের চাহিদা নিরসনের লক্ষ্যে মাদকবিরোধী প্রচার কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী বলেন, যে পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত হয়, কেবল তারাই এর গভীরতা, ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পারে। তিনি বলেন, মাদকের বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের দিকটি ইদানীং কমে গেছে। এটিকে বাড়িয়ে মাদকের পারিবারিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় কুফল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, মাদকের উৎপাদন বাংলাদেশে হয় না। পাশ্ববর্তী দেশসমূহ থেকে পাচারের মাধ্যমে আমাদের দেশে এসে এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। আর এটিকে সফল করতে হলে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

“মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫” উপলক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী, সেরা তিনটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তাছাড়া তিনি দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্যুভেনির ও ‘Annual Drug Report’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

এর আগে উপদেষ্টা বেলুন উড়িয়ে “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫” উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অংশগ্রহণে নির্মিত মাদকবিরোধী স্টল পরিদর্শন করেন।