শিরোনাম:

পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ পরিবেশ উপদেষ্টার

পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ পরিবেশ উপদেষ্টার

বৃহস্পতিবার ঢাকার পান্থপথস্থ পানি ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসের সঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : পিআইডি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে ঢাকার পান্থপথস্থ পানি ভবনে জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সব পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ দরকার। তবে এখন বাস্তব পদক্ষেপ হিসেবে অন্তত দুই-তিনটি প্রকল্প দিয়েই শুরু করা যেতে পারে।

আজ সকালে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় দ্রুত ও কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপ, নদী পুনরুদ্ধার, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

তিনি একটি নির্দিষ্ট দিনে সকল উন্নয়ন সহযোগীদের একত্রিত করার প্রস্তাব দেন। এতে করে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সহজ হবে এবং পানি ব্যবস্থাপনায় গতি আসবে।

আলোচনায় ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান, হালনাগাদ এনডিসি এবং এডিবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডেনের সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়।

রিজওয়ানা হাসান সাম্প্রতিক সাফল্যের মধ্যে বিভাগ ভিত্তিক নদী পুনরুদ্ধার, খাল সংস্কার এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে গণশুনানি বাধ্যতামূলক করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

উভয় পক্ষই সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের যৌথ অর্থায়নে মডেল প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

গুইন লুইস বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নীতির সঙ্গে স্থানীয় উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্য মিলিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।’

তারা প্রায় এক দশক ধরে বন্ধ থাকা ‘এনভায়রনমেন্ট কমিউনিটি অব প্র্যাকটিস’ সক্রিয় করার ওপর জোর দেন। কার্যকর আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, জাতিসংঘ অফিসের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ হর্ষদ গাইকোয়াড় এবং জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জলবায়ু ভাবনাকে বাস্তব কর্মে রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে বৈঠকটি মাধ্যমে শেষ হয়।

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’, ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা

পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ পরিবেশ উপদেষ্টার

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে (৮ আগস্ট) নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

এছাড়া গণ-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্র আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন (১৬ জুলাই) শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) দিবস দুটি ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক পরিপত্র জারি করা হয়।

প্রতি বছর যথাযথভাবে এই দুটি দিবস প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিবস দুটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।

নৌবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ পরিবেশ উপদেষ্টার

পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৫’ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৫-০৬-২০২৫) নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বানৌজা ঢাকায় গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫’ উদ্বোধন করেন। পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় নৌবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণসহ ঢাকা নৌঅঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নাবিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫’ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সকল নৌ ঘাঁটি, স্থাপনা এবং উপকূলীয় এলাকাসমূহে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করছে। নৌবাহিনী প্রধান সবুজ, শ্যামল ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল নৌসদস্যকে বৃক্ষরোপণের আহবান জানান। এছাড়াও তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে অধিকহারে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। উল্লেখ্য, নৌ ঘাঁটি, স্থাপনা ও উপকূলীয় এলাকাসমূহে ফলদ, বনজ ও ভেষজ চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ পরিবেশ উপদেষ্টার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ করা না হলে আগামী শনিবার (২৮ জুন) থেকে রাজস্ব বোর্ডের সব দপ্তর লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা এই ঘোষণা দেন।

আবদুর রহমানকে আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আমলা আখ্যা দিয়ে মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, দেশ ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আবদুর রহমান খান। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এনবিআরের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।

তারা বলেন, ইতোমধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবির এই আন্দোলনকে বাধা দিতে গতকাল রোববার আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। এর মধ্যে দুজন আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের, একজন এনবিআর বোর্ড অফিসের এবং বাকি দুজন ঢাকা ও কুমিল্লা কর অঞ্চলের। এ ধরনের বদলির তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে আন্দোলনের থামাতো এই ধরনের বদলি বন্ধেরও দাবি করেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনবিআরের প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ আজ সোমবারের মধ্যে বাতিল না করা হলে আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকাস্থ কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি এবং ঢাকার বাইরে নিজ নিজ দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, কলমবিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ চলবে। এছাড়া প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং এ ধরনের নতুন কোনো বদলি আদেশ জারি করা হলে আগামী ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলমবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ জুনের মধ্যে এসব বদলি আদেশ বাতিল না হলে ২৮ জুন থেকে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন চলবে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাফনের কাপড় পরে তিনঘণ্টা (সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কলম বিরতিরসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। এসময় সংস্থাটির বিভক্ত করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ তৈরিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব রাখার জোরদাবি রাখেন। কর্মসূচিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছে, অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যানকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণাটি থাকবে।

গত মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারির পর তা বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার পিছু হটে। বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পরে কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি বজায় রাখেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি স্বাভাবিক কাজে ফিরলেও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি নেওয়া হলেও তাদেরকে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।