স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী
প্রকাশ্যে শ্রমজীবী শেফালী বেগমের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। শেফালী বেগমের দুই পা রামদার কোপে এবং উল্টোপিঠ দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্বর ওই পাষণ্ডের দল চাকু দিয়ে পায়ের ভাঙা অংশে অসংখ্যবার কুপিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। আর এই অবস্থার খবর পেয়েও পুলিশের ওসি অপেক্ষায় আছে অভিযোগের।
বাড়ি থেকে চলাচলের পথের সীমানার বিরোধ নিয়ে নিকটাত্মীয় স্থানীয় সন্ত্রাসী মোবারক ফকির, কাশেম ফকির, বাবুল ফকির, নাসির ফকির ও মিরাজসহ ১০/১২ জন ঘণ্টাব্যাপী ওই মহিলার ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়ে বর্বর নির্যাতন চালায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর (খলিলপুর) গ্রামে এমন নির্দয় নৃশংসতায় মানুষ হতবাক বনে গেছেন। চিকিৎসার জন্য তিনজনকেই রাতে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেফালীকে জরুরি চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
ঢাকায় ইট ভেঙে জীবিকা চলত শেফালীর। করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় যুগ পর বাড়িতে ফিরে পৈতৃক ভিটায় ঘর তোলেন। কিন্তু চলাচলের রাস্তার জন্য প্রতিপক্ষরা জায়গা দিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে সালিশ হয়। সালিশে চার ফুট প্রশস্ত রাস্তার জায়গা দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা মানেনি প্রতিপক্ষরা; যার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় শেফালী বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে দুই পা ভেঙে চাকু দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে অচল করে দেয়।
চিকিৎসক মো. মাহমুদুর রহমান জানান, শেফালীর অবস্থা খুবই শঙ্কাজনক। পা অসংখ্য স্পটে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। চাকুর অসংখ্য কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারপরও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।