করোনাভাইরাসে থমকে গেছে পৃথিবী, সবাই এখন ঘরবন্দি। বিশ্বের প্রায় দু’শটির বেশি দেশ এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করেছে। যেসব দেশে লকডাউন উঠিয়ে নেয়া হয়েছে কিংবা কর্মস্থল খুলে দেয়া হয়েছে তারাও যতটা সম্ভব সীমিত আকারে কাজ সারছে।
সাধারণত যে কোনো মহামারীকালে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ঘরে থাকাকেই উৎসাহিত করা হয়। বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারীতেও সেটাই হচ্ছে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে মেনে চলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। স্থগিত রাখা হচ্ছে নানারকম পরিকল্পনা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। বিয়ের মতো শুভ অনুষ্ঠানও বাদ পড়ার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস ঘরে বসে থেকে অনেকেই হাঁপিয়ে উঠেছেন।
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে না পারা, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, চারদিকে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়ায় জনজীবনে দেখা দিচ্ছে হতাশা ও মানসিক সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপে থাকা মানুষদের জন্য করোনার ঝুঁকি বেশি। তাই এ করোনাকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রথমত থাকতে হবে চাপমুক্ত এবং একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী।