ফরহাদ শিমুল, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
৬ কোটি টাকা বরাদ্দে নির্মিত পটুয়াখালীর বাউফল মডেল থানা ভবন হস্তান্তরের আগেই দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সেই সাথে খসে পরছে পলেস্তারা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটির কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে ভবনটির স্থায়ীত্ব নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভবনটির বাইরে ও ভিতরে রংয়ের কাজ শেষ হলেও বাউন্ডারি ওয়াল ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এমন পরিস্থিতির কারণে পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে ৩ থেকে ৪ মাস আগে ভবনে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র সরবরাহ করা হলেও তা ব্যবহার অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের অধীনে ১৩-১৪ অর্থ বছরে ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকায় বাউফল মডেল থানার দরপত্র আহবান করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গিয়াস উদ্দিন ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় নিম্ন দরে ভবনটির কাজ পান। ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ভবনটি হস্তান্তরের কথা থাকলে ৩৬ মাসেও তা সম্ভব হয়নি।
এমনকি ভবনটির বাইরে ও ভিতরে রংয়ের কাজ শেষ হলেও বাউন্ডারি ওয়াল ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
বাউফল মডেল থানা ভবনটি হস্তান্তরের আগেই বিভিন্ন জায়গায় চিলি ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তরা খসে পড়ছে, দেয়ালে নোনায় ধরেছে। ভবনের দরজার, জানালা, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ ও ফিটিংসের কাজ হয়েছে অত্যান্ত নিম্নমানের।
অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটির কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভবনটির স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে ৩ থেকে ৪ মাস আগে ভবনে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র সরবরাহ করা হলেও তা ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভবনটি হস্তান্তরের আগেই ব্যবহার শুরু হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়াটারের পছন্দ অনুযায়ী ফিটিংস ক্রয় করা হয়েছে।
ভবনের ভিতরে দেয়ালে রংয়ের কাজ শেষ হয়নি। সুতরাং ফাটল বা লোনায় ধরার প্রশ্নই আসেনা।’
এ ব্যাপারে ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।”
১২-০৭-১৭-০০-১৫০-