তৌহিদ আজিজ, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
রাজধানীর মালিবাগে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে হাইকোর্ট যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন তার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে।
মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ হওয়ার পরও যে বিষয়গুলো বিবেচনায় ঐশীর সাজা কমানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে: বংশগতভাবে ঐশীর পরিবারে (নানি ও মামা) মানসিক রোগীর উপস্থিতি ছিল।
হত্যার ঘটনার দুইদিন পই ঐশীর আত্মসমর্পণের বিষয়টিও উচ্চ আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। অতীতে ঐশীর বিরুদ্ধে যে অন্য কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড (অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা) নেই সেটাও বিবেচনা করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ঐশীর মাদকাসক্তি যেটা দূর করা হয়নি সেটাও একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও নিজামুল হক নিজাম। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। গত ৭ মে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে।
এরপর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড, তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
ওই বছরের ১৯ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায়সহ নথিপত্র হাইকোর্টে আসে এবং পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে ঐশী।
০৬-০৬-১৭-০০-১০