ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের ধরন, কাহিনি—সব কিছুতেই এসেছে পরিবর্তন।
১. সেকালে প্রেম ছিল ‘গোপন’ বিষয়। কেউ জেনে ফেললেই ‘খবর’ হয়ে যেত!
একালে প্রেম মানেই প্রকাশ্য। প্রেমের কথা বন্ধুবান্ধবদের না জানালেই বরং ‘খবর’ হয়ে যায়!
২. সেকালে কারো প্রেমে পড়লে সেটি কদাচিত্ বলার সুযোগ হতো। দেখা যেত, বলার আগেই প্রেমিক বা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে!
একালে কারো প্রেমে পড়লে সেটি ধুমধাম বলে দেওয়া হয়।
৩. ওই সময় দুজনের মধ্যে প্রেম হতে অনেক সময় লাগত। পছন্দের মানুষকে ‘তোমাকে আমার ভালো লাগে’ বলার পর পরবর্তী সাক্ষাতে জবাব শোনার জন্য হয়তো কয়েক মাসও অপেক্ষা করতে হতো!
এ সময় প্রেম হচ্ছে ওয়ান-টুর বিষয়! ভালো লাগল, বললাম, হয়ে গেল!
৪. ওই সময় প্রেম ছিল বড্ড গভীর। কোনো কারণে বিচ্ছেদ হলে প্রেমিক-প্রেমিকারা কেঁদে বুক ভাসাতেন।
এ সময়ে প্রেম হচ্ছে উড়াধুড়া! ছ্যাঁকা খেলেই নতুন কারো সন্ধানে নেমে পড়ো, কাঁদার সময় নাই!
৫. সেকালে প্রেমের প্রস্তাব দিতে চিঠি লিখে ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হতো।
একালে ফেসবুকে ইনবক্সে ‘লাবিউ জানু’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই রিপ্লাই! তাতে হয় ব্লক খাওয়া, না হয় প্রত্যুত্তরে ‘মি টু জানু’!
৬. সে সময় প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে ‘লিটনের ফ্ল্যাট’ বলে কিছুই ছিল না।
এ সময় বেশির ভাগ প্রেমিক-প্রেমিকা ‘লিটনের ফ্ল্যাট’ বিষয়টা সম্পর্কে ভালোই জানে!
৭. সেকালে প্রেমিকদের মনে ‘টাকা কোথায় পাব’ নামক ভয় ছিল না! কারণ সে সময় প্রেমিকাকে নিয়ে ডেটিংয়ে যাওয়া, রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো, দামি গিফট দেওয়া—এসব কিছুই ছিল না।
একালে প্রেমিকমাত্রই ‘টাকা কোথায় পাব’ চিন্তায় তটস্থ! কারণ প্রেমিকাকে নিয়ে ডেটিংয়ে যাওয়া, খাওয়ানো, গিফট দেওয়া এ যুগে বাধ্যতামূলক!
৮. সেকালে প্রেম হতো চোখে চোখে।
একালে প্রেম হয় ফেসবুকের ইনবক্সে!
৯. সেকালের প্রেমিক-প্রেমিকাদের কোনো কিছু ফাঁস হওয়ার ভয় ছিল না।
একালের প্রেমিক-প্রেমিকারা স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার ভয়ে থাকেন!
১০. সে সময় মা-বাবা ভয়ে থাকতেন, সন্তান যদি প্রেম করে বসে!
এ কালে সন্তান প্রেম না করলেই বরং ভয় পান মা-বাবা! তাঁরা ভাবেন, আমার বাচ্চাটা ঠিক আছে তো!
ফরহাদ শিমুল -০৩-০৬-১৭-০০-১১০-