ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
মুখবিহীন মাছ ! শুনতে অবাক লাগলেও অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার সামুদ্রিক অঞ্চলে চালানো এক নতুন অভিযানে এমনই এক মাছের অস্তিত্ব মিলেছে। অভিযানে নানা ধরনের অদ্ভুত প্রাণীর খোঁজ মিলেছে, যেগুলোর বেশির ভাগই প্রাণিবিজ্ঞানীদের কাছে একেবারেই অপরিচিত।
ওই এলাকায় মাসব্যাপী বৈজ্ঞানিক অভিযান চালিয়েছেন একদল গবেষক। মূলত গভীর সমুদ্রের প্রাণ ও জীববৈচিত্র্য পরীক্ষা করাই ছিল এ অভিযানের উদ্দেশ্য। আর তা করতে গিয়েই পাওয়া গেছে অদ্ভুত ধরনের সব প্রাণী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার গভীরের ওই খাদে জাল, সোনার মেশিন ও ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
এ দলের প্রধান বৈজ্ঞানিক টিম ও’হারা এএফপিকে বুধবার বলেন, সমুদ্রের এই এলাকায় পৃথিবীর সবচেয়ে অনাবিষ্কৃত পরিবেশ রয়েছে। নতুন পাওয়া প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে পাথুরে কাঁটাওয়ালা কাঁকড়া, কফিনফিশ, সামুদ্রিক মাকড়সা এবং সাপের মতো দেখতে সামুদ্রিক ইল মাছ। গত ১৫ মে শুরু হওয়া অভিযানে তাসমানিয়ার লঞ্চেনস্টনের উত্তর দিকে অবস্থিত কোরাল সমুদ্র থেকে এসব প্রাণী সংগ্রহ করা হয়।
এর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া গেছে মুখ ছাড়া একধরনের মাছ। ১৮৭৩ সালে একবার এ ধরনের মাছের কথা জানা গিয়েছিল। পাপুয়া নিউগিনিতে এ ধরনের মুখবিহীন মাছ পাওয়া গিয়েছিল বলে বিভিন্ন নথিপত্রে উল্লেখ আছে।
সাম্প্রতিক অভিযানে অংশ নেওয়া গবেষকেরা বলছেন, গভীর সমুদ্র বেশ অন্ধকার থাকে। সেখানে সূর্যের আলো প্রায় যায় না বললেই চলে। ফলে সমুদ্রের এত গভীরে থাকা মাছের অনেক সময় চোখ থাকে না। এর বদলে তাদের শরীরে থাকে আলো উৎপন্নকারী পদার্থ। সেই আলো দিয়েই পথ চলে এসব প্রাণী। আবার একধরনের মাংসাশী স্পঞ্জ-জাতীয় প্রাণী পাওয়া গেছে, যার সিলিকনের তৈরি ধারালো দাঁতের মতো আছে।
গবেষকেরা এ অভিযানে প্রায় কয়েক হাজার নমুনা সংগ্রহ করেছেন। দলটিতে প্রায় ২৭ জন বিজ্ঞানী ছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই হাজার খানেক প্রাণীর এক-তৃতীয়াংশই নতুন প্রজাতি।
০১-০৬-২০১৭-০০-৬০-০১-তৌহিদ আজিজ