ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
নিজ সন্তানকে অপহরণের পর সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন মাসুম রেজা। তবে ভাগ্য ভালো থাকায়
৬ বছরের ছোট্ট শিশু সন্তানকে তার মায়ের বুক থেকে কেড়ে নিতে পারেনি মাসুম রেজা ও তার লালিত সন্ত্রাসীরা। আর ঐ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হীরা খানমকে হয়রানি করছে তার সাবেক স্বামী। হত্যার উদ্দেশ্যে হীরা খানমের ওপর সন্ত্রাসীদেরও লেলিয়ে দিয়েছে। সাবেক স্বামী ও তার লালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হীরা খানম। ইতিমধ্যেই ঢাকা শহর ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন হীরা খানম। একই সঙ্গে চোরাচালানি ও হু-ি ব্যবসার মাধ্যমে তার সাবেক স্বামী মাসুম রেজার শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন। হীরা খানম অভিযোগ করেন, অবৈধপথে উপার্জিত ঐ বিপুল অর্থ টাকা তার সংসারে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হীরা খানম বলেন, তার সাবেক স্বামী মাসুম রেজা এক সময় নৌ বাহিনীতে নাবিক পদে চাকরি করতেন। সেখান থেকে পালিয়ে এসে আর চাকরিতে ফিরে যাননি। ঐ সময় তিনি বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ছোট-খাটো চাকরি করতেন। ৫/৬ বছর আগে তিনি আমেরিকান একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশস্থ এজেন্ট অফিসে নিম্নপদে চাকরি নেন। মাত্র দু’বছরে মাথায় মাসুম রেজার নানা দুর্নীতির কারণে এক পর্যায়ে কোম্পানীটি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তবে আমেরিকান ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে ঐ সময় তার বেশ কয়েকটি দেশ সফরের সুযোগ হয়। আর এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান মাসুম রেজা। আমেরিকান ঐ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পর নিজের পাসপোর্ট ব্যবহার করে, স্বর্ণ, বিভিন্ন কেমিক্যাল এবং অবৈধ হু-ি ব্যবসার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যান মাসুম রেজা। হীরা খানম বলেন, অবৈধ আয়ের ঐ কোটি কোটি টাকাই তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, টাকার সঙ্গে তার সংসারে বাড়তে থাকে অশান্তি। পরকীয়াসহ তার স্বামী নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। আর এসব প্রতিবাদ করতেই তার ওপর চালানো হতো অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে হীরা খানম অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থের কালো ছায়া থেকে মুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে তিনি মাসুম রেজাকে ডিভোর্স দেন।
হীরা খানম বলেন, স্বামীর সংসারে স্বাচ্ছল্য গাড়ি-বাড়ির মায়া ত্যাগ করে সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও মাসুম রেজা তার পিছু ছাড়েনি। বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। হত্যার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলাও চালিয়েছে। শেষমেষ ৬ বছরের শিশু সন্ত্রানকে বুক থেকে কেড়ে নিতে অপহরণের চেষ্টা করেছে। এ ব্যাপারে রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরির পর পুলিশি তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানা মাসুম রেজা ও তার ভগি্নপতি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ের ক্লার্ক আলমগীর হোসেন খাঁনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে।