ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
আইন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বিচার বিভাগ অকেজো হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মোবাইল কোর্ট আইন নিয়ে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে গতকাল রোববার এমন মন্তব্য আসে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান অসাংবিধানিক ঘোষণা করে গত ১১ মে রায় দেয় হাইকোর্ট। ১৪ মে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ।
ঐদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ১৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের স্থগিতাদেশ আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আপাতত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উপস্থাপনের পর সর্বোচ্চ আদালত বলেন, দরখাস্তে কি দেখাতে চেয়েছেন? জবাবে এটর্নি জেনারেল বলেন, মোবাইল কোর্ট ৪ দিন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে দিনাজপুরে ৩৭টি বাল্যবিয়ে হয়েছে।
তখন আদালত বলেন, আপনি কি প্যারালাল কোর্ট চান? এসময় এটর্নি জেনারেল বলেন, না। ইমিডিয়েটলি ইফেক্টের জন্য। কোনো অপরাধের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার জন্য এটি।
তখন আদালত বলেন, মোবাইল কোর্ট করে শাস্তি দেবেন। আবার তার বিচার করবেন। এটা কোন বিধানে করবেন?
জবাবে এটর্নি জেনারেল বলেন, পুরো মামলাটির শুনানি গ্রহণ করেন।
তখন আদালত বলেন, আমরা প্রকাশ্যে আদালতে অনেক কিছু বলি। এটার অনেক অপব্যাখ্যা হচ্ছে। বিচার বিভাগ সরকারের বিপক্ষে নয়। বিচার বিভাগ সবসময় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রায় দেন। আইন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বিচার বিভাগ অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এটা আপনি সরকারকে জানাবেন সমাধানের জন্য।
জবাবে এটর্নি জেনারেল বলেন, এভাবে বললে হবে? এটার কি সলভ (সমাধান) হবে? এগুলো বললে সংবাদপত্রে বড় বড় অক্ষরে হেডলাইন হবে। তাহলে কিভাবে সমাধান হবে?
আদালত বলেন, আপনাকে জানিয়ে দিলাম সমাধান করার জন্য। তখন এটর্নি জেনারেল বলেন, সল্যুশন তো হচ্ছে না।
২২-০৫-২০১৭-০০-৯০-২২-মা/হা/তা/