ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
মুসলিমদের ‘তিন তালাক’ প্রথার বৈধতা যাচাই করতে ঐতিহাসিক শুনানি চলছে সুপ্রিম
কোর্টে৷ মুসলিম, হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান ও পার্সি ধর্মাবলম্বী বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ এ বিষয়ে পক্ষ-বিপক্ষের যুক্তি শুনছে৷
বিবাহ থাকলে বিবাহবিচ্ছেদও থাকবে৷ সেটাই স্বাভাবিক৷ তাই বলে, এক তরফা কেন? স্বামী-স্ত্রী দু’জনের সহমতের ভিত্তিতে যদি বিবাহ হয়, তবে একই ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হবে না কেন? তাছাড়া বিচ্ছেদের পর বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী এবং তাঁর সন্তান-সন্ততির আর্থিক ও সামাজিক দায়-দায়িত্ব (ভরণ-পোষণ) কেন নেবে না স্বামী? তাছাড়া শরিয়তি এই আইনের আরো একটা কুৎসিত দিক রয়েছে৷ তালাকের পর যদি স্বামী আবার ফিরিয়ে নিতে চান তাঁর স্ত্রীকে, তাহলে সেই স্ত্রীকে আগে কিছুদিন ‘পর পুরুষের সঙ্গে রাত কাটিয়ে’ আসতে হবে৷ এইসব আইন, নিয়ম ও প্রথার পেছনে কি শুধুই লুকিয়ে রয়েছে ধর্মীয় কারণ? নাকি, তার আড়ালে নিজেদের সুবিধামতো চুপিসাড়ে নারীদের অসহায় করে রাখার এক মরণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক মুসলিম সমাজ?
ইসলাম
১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী, কাজীর মাধ্যমে তালাক দিতে হবে এবং তালাকের নোটিশ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে অথবা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনকে পাঠাতে হবে৷ মুখে তালাক দিলে সেটি কার্যকর হবে না৷
একাধিক প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠনকে এক ছাতার তলা
য় এনে মুসলিম নারীদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছেন তনবীর৷ নিজে একজন মুসলিম নারী হয়েও মুসলিম সমাজের এই ‘কু-প্রথা’ থেকে সমাজকে বের করে আনতে চাইছেন তিনি৷ তবে এ জন্য তিনি কোনোভাবেই পবিত্র কোরান এবং ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা করতে না
১৫/৫/২০১৭/০-২৫০-৭/ম/জা/