ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ছিল ‘শক্তিশালী ও বিশালাকৃতির পরমাণু ওয়ারহেড’ বহনে সক্ষম নতুন ধরনের একটি রকেটের সফল পরীক্ষা। এমনটিই দাবি করেছে স্বয়ং পিয়ংইয়ং।
রবিবার সকালে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক টানাপোড়ন যখন তুঙ্গে তখন এ পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটির বিষয়ে জানায় উত্তর কোরিয়া।
দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, রবিবার তারা তাদের নতুন ধরনের মধ্য/দূরপাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক রকেট, হোয়াসং-১২’র পরীক্ষা চালিয়েছে। রকেটটি একটি শক্তিশালী ও বিশালাকৃতির পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২,১১৫.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর ৭৮৭ কিলোমিটার দূরের নির্ধারিত লক্ষ্যে পতিত হয়েছে।
কেসিএনএ আরো জানায়, রকেটটির প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি এবং বৈশিষ্ট্যাবলী পরীক্ষার জন্য এটিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। দেশটির নেতা কিম জং-উন ব্যক্তিগতভাবে রকেটটির নিক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে বার্তা সংস্থাটি জানায়।
এর আগে, রবিবার উৎক্ষেপণের পরপর দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আধা ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে জাপান সাগরে পড়ে।
টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি ইনাদা বলেন, উত্তর কোরিয়ার নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০ মাইল বা ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তাই আনুভূমিক দিক দিয়ে এটি ৭০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু এটিকে দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করা হলে ক্ষেপণাস্ত্রটি চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারত।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একের পর এর ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। গতমাসে দুই দফা ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি সফল হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দাবি, মার্কিন আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে দেশটির পরমাণু অস্ত্র প্রয়োজন।
১৫/৫/২০১৭/০-৮-৭/আজিজ হৃদয়/