ডেস্ক রিপোর্ট , বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
পৃথিবীর স্থলভাগ জুড়ে আমাদের চলাচল বেশি। যোগাযোগের জন্য সমুদ্রপথ ব্যবহৃত
হয়ে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অংশই সমুদ্র। মহাসাগর পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০ শতাংশ দখল করে আছে। মহাসাগরের অর্ধেকেরও বেশি জায়গার গড় গভীরতা ৩ হাজার মিটারেরও বেশি। আমাদের ভূমণ্ডলে মহাসাগরের প্রভাব উল্লেখযোগ্য। বিশেষত মহাসাগরীয় বাষ্পীভবন প্রক্রিয়া গুরুত্ব বহন করে। এটি পানিচক্রের একটি প্রয়োজনীয় ধাপ। পৃথিবীতে বৃষ্টিপাতের উৎসস্থল হিসেবে মহাসাগরগুলো চিহ্নিত। মহাসাগরীয় তাপমাত্রা, জলবায়ু ও বাতাসের গতিপথের ওপর বৃষ্টিপাত অনেকাংশে নির্ভরশীল। এ ছাড়া মহাসাগর স্থলভাগে বসবাসকারীদের জীবন ও জীবনধারায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। মহাসাগর গঠনের ৩ বিলিয়ন বছরের মধ্যে স্থলভাগে মানুষের চলাচল শুরু হয়। সমুদ্র উপকূলের গভীরতা এবং দূরত্ব উপক‚লীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্যে অবদান রাখে। উপক‚লীয় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের গাছপালা জম্নে এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বসবাস করে। মহাসাগরের পানির রং নীল। এ ছাড়াও পানিতে খুব কম পরিমাণে নীল রং থাকে। তাই যখন বিপুল জলরাশিকে একত্রে রাখা হয় তখন মহাসাগরের পানি নীল দেখায়। এখন পানির নিচ দিয়েও ভ্রমণ করা সম্ভব। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ হিসেবে নর্দার্ন মারিয়ানা দ্বীপের খাত সমুদ্রের গভীরতম বিন্দু। ব্রিটিশ নৌযান চ্যালেঞ্জার-২ ১৮৫১ সালে স্থানটি জরিপ করে এবং সবচেয়ে গভীর স্থানকে নামকরণ করেছে ‘চ্যালেঞ্জার ডিপ’ হিসেবে। ভূগোলবিদরা গবেষণার সুবিধার্থে মহাসা
গরকে ৫টি অংশে বিভক্ত করেছেন।
প্রশান্ত মহাসাগর : এটি আমেরিকাকে এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে বিভক্ত করেছে।
আটলান্টিক মহাসাগর : এটি আমেরিকাকে ইউরেশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে বিভক্ত করেছে।
ভারত মহাসাগর : এটি দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে রেখেছে এবং আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে বিভক্ত করেছে।
দক্ষিণ মহাসাগর বা অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর : এ মহাসাগর অ্যান্টা
র্কটিক মহাদেশকে ঘিরে রেখেছে এবং প্রশান্ত, আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের বহিরাংশ হিসেবে নির্দেশিত হচ্ছে।
উত্তর মহাসাগর বা আর্কটিক মহাসাগর : এ মহাসাগরটি আটলান্টিক মহাসাগরের একটি সমুদ্র হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে, যা আর্কটিকের অধিকাংশ এলাকা এবং উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার একাংশকে ঘিরে রেখেছে।
প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। প্রশান্ত মহাসাগরের
আয়তন ১৬৯.২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় ৩২ শতাংশ, সব জলভাগের ৪৬ শতাংশ এবং পৃথিবীর ভ‚মিপৃষ্ঠের চেয়ে আয়তনে বেশি। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ আগ্নেয়গিরি এই মহাসাগরে অবস্থিত। গ্রেট বেরিয়ার রিফ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরাল রিফ এখানে। অন্যদিকে আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আয়তন ১০৬.৪ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ভারত মহাসাগর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। পৃথিবীর মোট জলভাগের ২০ শতাংশ এই মহাসাগরে রয়েছে। দক্ষিণ মহাসাগর বা অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণের জলরাশি। উত্তর মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সবচেয়ে কম গভীর মহাসাগর।
৩০/৪/২০১৭/২৩০/তৌহিদ আজিজ/