ডেস্ক রিপোর্ট , বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় শ্বশুরের মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে দিলেন জামাতা আতাউর রহমান তোবার। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ঘটনার শিকার ব্যক্তি কিংবা তার পরিবারের পক্ষে কেউ অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করবার সাহস পায়নি!
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামের মৃত কাছের উদ্দিনের পুত্র মজিবর রহমান (৬০) ডিমলা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে খগার হাটে রাত ৯টায় চা খেতে বসে। এমন সময় খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের আতাউল ইসলাম শ্বশুর মজিবর রহমানকে দেখতে পায়। চায়ের দোকান থেকে মজিবর রহমানকে জোরপূর্বক খগার হাটের পূর্ব দিকে ১ কিলোমিটার রাস্তা টেনে হিচরে আতাউলের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি নিয়ে গিয়ে বেস্নড নিয়ে অর্ধেক মাথা ন্যাড়া করে চুনকালী মাখিয়ে ও জুতার মালা পরিয়ে আবারও বাজারে পাঠায়। পরে স্থানীয় জনতা জুতার মালা ফেলে দেয়। রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার শত শত মানুষ খগারহাটে মজিবরকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে বালাপাড়া ইউপি সদস্য সেলিম আজাদের মাধ্যমে মজিবর রহমানকে তার নিজ বাড়িতে পাঠায়। ঘটনার সূত্রে আরো জানা যায়, মজিবর রহমানের কন্যা ছকিনা বেগমের সাথে ৮ বছর আগে আতাউল ইসলামের বিয়ে হয়। গত ২ মাস পূর্বে ছকিনা বেগম আতাউলকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। স্ত্রী ছকিনা বেগম অন্যত্র বিয়ে করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আতাউল উক্ত ঘটনা ঘটায়। ঘটনার শিকার মজিবর রহমান বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে বাজার থেকে টেনে হেঁচড়ে জামাতা আতাউল বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অর্ধেক মাথা ন্যাড়া করে কড়াইয়ের কালি ও চুন লাগিয়ে দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে বাড়ি থেকে বের করে। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল ও চরম অন্যায়। ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন শেখ বিষয়টি জানার পর রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মজিবর রহমানকে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নিজ বাড়িতে পাঠান। মামলা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে মামলা দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩০/৪/২০১৭/২০/