মনির জামান, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
নাটোরের লালপুরে মৃত্যুর ভয়ে লুকিয়ে ছিল কবরস্থানে। নাটোরের লালপুরে বজ্রপাতে নিহত কৃষক হাফিজুর রহমানের (২৬) লাশ চুরির আশঙ্কায় ঘরের ভেতরেই তাকে দাফন করেছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বজ্রপাতে নিহত হাফিজুর ওই গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে হাফিজুরের মৃত্যুর পর তার মরদেহকে ঘিরে রটতে থাকে নানা গুজব। জনমনেও এই মরদেহ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। এলাকার অনেক মানুষেরই ধারণা, বজ্রপাতের কারণে মরদেহের আক্রান্ত একটি অংশ স্বর্ণে পরিণত হয়। তাই মরদেহটি কেউ চুরি করে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দেবেন। চুরির ভয়ে মঙ্গলবার সকালে বজ্রপাতে নিহত হাফিজুরকে তার নিজ ঘরেই দাফন করা হয়।
নিহতের বাবা মতিউর রহমান বলেন, বজ্রপাতে নিহতের লাশ নাকি কবর থেকে তুলে নিয়ে যায় চোরেরা। গ্রামের অনেকেই বলাবলি করছে নিহত হাফিজুরের মরদেহ যদি সামাজিক কবর স্থানে দাফন করা হয়, তাহলে তার মরদেহটি রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাবে। তাই ঘরের মধ্যেই ছেলের কবর দেয়া হয়েছে। পরে কবরের চারপাশ দিয়ে সেখানে ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে।
লালপুরের ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, অন্যত্র লাশ চুরির কথা শুনে থাকি, তবে আমাদের এখানে এমনটি ঘটেনি। বিষয়টি হাস্যকর হলেও এ ঘটনায় সমগ্র লালপুর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাড়ির পাশের মাঠে কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে হাফিজুর রহমানের মৃত্যু হয়।
২৬/৪/২০১৭/২০/