ডেস্ক রিপোর্ট , বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
অদ্ভুত সব নিয়ম আর কথায় কথায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন বিশ্বগণমাধ্যমে হয়ে উঠেছেন এক ভয়ঙ্কর চরিত্রের নেতা। গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হচ্ছেন কিম জং উন। তিনি হচ্ছেন, কিম জং ইলের (১৯৪১-২০১১) চতুর্থ সন্তান ও কিম ইল সাংয়ের (১৯১২-১৯২৪) নাতি। তিনি বর্তমানে ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি, উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সেনা কমিশন ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কোরিয়ান পিপলস আর্মির সুপ্রিম কমান্ডারও তিনি। তার বাবা অর্থাৎ কিম জং ইলের রাজ্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তিনি ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ নিজেকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি তার বাবা কিম জং ইল ও মা কো ইয়ং হির তৃতীয় ও সর্বকনিষ্ঠ পুত্র। ২০১০ সালের শেষ দিক থেকেই কিম জং উন রাষ্ট্রের পরবর্তী উত্তরাধিকারের মতো আচরণ শুরু করেন এবং তার বাবার মৃত্যুর পর কিমকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ‘মহান উত্তরাধীকারী’ হিসেবে ঘোষণা করেন। কিম জং ইলের একটি স্মরণসভায় উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির সভাপতি কিম ইয়ং নাম ঘোষণা করেন- ‘সম্মানিত কমরেড কিম জং উন, আমাদের দল, সামরিক বাহিনী ও দেশের সর্বোচ্চ নেতা; যিনি মহান কমরেড কিম জং ইলের আদর্শ, নেতৃত্ব, চরিত্র, গুণাবলি, সাহসিকতা ও বীরত্বের উত্তরাধিকারী লাভ করেছেন।’ ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্ব^র ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতিম-লীয় নিয়ন্ত্রণ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে, কিম জং উনকে কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদে নিযুক্ত করেন। ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল চতুর্থ দলীয় সম্মেলনে তাকে সদ্য সৃষ্ট পদ কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সম্পাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে সেনাপতি পদে উন্নীত করা হয়। এর ফলে তার সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদটি আরও দৃঢ় হয়। তার দুটি ডিগ্রি রয়েছে একটি থেকে কিম ইল সাং বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানের ওপর, আরেকটি সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কিম ইল সাং সামরিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ৩১ বছর বয়সে, বর্তমানে তিনি পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান।
২০১২ সালের ২৫ জুলাই উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রথমবারের মতো কিম জং ইলের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রকাশ করেন। এতে বলা হয় কিম রি সোল জুর সঙ্গে বিবাহিত। কিছু সূত্র বলে, তারা ২০০৯ সালে বিয়ে করেন এবং ২০১০ সালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন।
ভবিষ্যদ্বাণীর উল্টো : উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় যখন তার উত্তরসূরি হিসেবে বড় দুই ছেলেকে ডিঙিয়ে ছোট ছেলে কিম জং উনের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক কানাঘুষা শুরু হয়েছিল। একে তো কিম জং উন বয়সে নেহাত তরুণ, তার ওপর তার কিছু নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের কথা চাউর হয়ে গিয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, তার বিদ্যার পাল্লা তেমন ভারী নয়, বুদ্ধিশুদ্ধিতে ধার নেই, রাজনীতির চেয়ে খেলাধুলায় ঝোঁক বেশি। আবার তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। এসব খবরে অনেকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, উন আর যা-ই হোন, বাবা ইলের মতো অতটা প্রভাবশালী নেতা হতে পারবেন না। কিন্তু সব পূর্বাভাসকে মিথ্যা করে, কয়েক বছর ধরে বেশ দাপটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গন গরম করে তুলেছেন তিনি।
৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড : কখনো ক্ষুধার্ত কুকুরের মুখে ঠেলে দিয়ে। কখনো কামানের তোপ। আবার কখনো সামনে থেকে গুলি করে। বিরোধী বা তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে এভাবেই প্রাণদণ্ড দেওয়ার একাধিক নজির রয়েছে উত্তর কোরিয়ার ‘স্বৈরশাসক’ কিম জং উনের। তার আদেশে প্রাণদণ্ড পাওয়ার তালিকায় আছেন নিজের চাচা, ফুপাসহ অনেক নিকটাত্মীয়। সন্দেহ করা হয় সৎভাই কিম জং নামের হত্যার পেছনে থাকতে পারে কিম জং উনের হাত। দক্ষিণ কোরিয়ার থিংক ট্যাংক দ্য ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজির তথ্যানুসারে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন ২০১১ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৩৪০ জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪০ জনই দেশটির সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্ষমতাসীন কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা।
পাঠ্যবইয়ে কিম জং উন : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে প্রশ্নহীন আনুগত্য তৈরির অংশ হিসেবে পাঠ্যবইয়ে রয়েছে কিম জং উনের জীবনী। যার পুরোটা জুড়েই আছে ‘বিস্ময়বালক’ কিম জং উনের মাহাত্ম্য। কীভাবে মাত্র তিন বছর বয়সে দক্ষ চালক হয়ে উঠেছিলেন, মাত্র নয় বছরে নৌ-প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন- এসবেরই আখ্যান আছে সেই অবশ্যপাঠ্য বিষয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরে বলা হয়, উনের এই নতুন কৌশলের পেছনে একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হলো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে প্রশ্নহীন আনুগত্য তৈরি করা। শিক্ষক-শিক্ষিকারা তো বটেই, শিক্ষার্থীরাও যাতে উত্তর কোরিয়ার এই স্বৈরতন্ত্রী প্রশাসকের ব্যাপারে অনুগত থাকেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। উত্তর কোরিয়ার শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান রাজনীতির আঙিনায় দক্ষ তো বটেই, পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও সমান পটু। আবার তিনি সুরস্রষ্টাও বটে। একই সঙ্গে অকূল সমুদ্রে দক্ষ নাবিকের মতো ভেসে বেড়ানোর ক্ষমতাও তার জন্মগত। নতুন বিষয়টির জন্য যে পাঠ্যবই প্রকাশ করেছে প্রশাসন, তাতে বলা হয়েছে, মাত্র নয় বছর বয়সে একটি বিদেশি ইয়ট কোম্পানির প্রধানের সঙ্গে নৌকা প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন উন। সব মিলিয়ে উত্তর কোরিয়ার এই শাসককে বিস্ময়বালক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ওই পাঠ্যবইয়ে।
অবিশ্বাস্য বিলাসবহুল জীবন :
দামি মদ : দেশি সস্তা ও সুলভ মদ উনের মুখে রোচে না। যেগুলোর দাম প্রতি বোতলের ২ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি। এক রাতের মধ্যেই ১০ বোতল ফরাসি ওয়াইন ‘বোর্ডিয়াক্স’ খেতে পারেন বলে তিনি প্রায়ই গর্ব করেন। তার নিকটজনদের জন্য মদ আমদানি করতে বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হয় সরকারি কোষাগার থেকে।
বিদেশি খাবার : উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশই ভয়ানক অপুষ্টির শিকার। বেশিরভাগ মানুষ সরকারি রেশনের ওপর নির্ভরশীল। ২০১৫ সালের আগস্টের এক হিসাব অনুযায়ী, খাদ্য হিসেবে প্রতি সাধারণ উত্তর কোরীয় নাগরিকের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ২৫০ গ্রাম শস্যদানা মাত্র! প্রোটিন ও শুকনো মাছ বা স্কুইডের মতো খাবার অত্যন্ত দুর্লভ। সেখানে কিমের ডেনমার্কের থেকে মানসম্মত পোর্ক, ইরান থেকে ক্যাভিয়ার, চীনা তরমুজ আর গোমাংস থেকে তৈরি জাপানের অত্যন্ত সুস্বাদু ‘কোবে’ না হলে তার চলে না।
বাহারি সিগারেট : ফরাসি কোম্পানি দ্য ইয়েভস সেইন্ট লরেন্টের বানানো সিগারেটই তার পছন্দ, যার প্রতি পিসের দাম ৪৪ ডলার করে। আর এই সিগারেট বহনের জন্য যেই চামড়ায় তৈরি ব্যাগ, তার দাম ১৪৪ ডলার।
বিলাসবহুল ইয়াট : প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের নিজস্ব ইয়াট নিয়ে সমুদ্রে দাঁপিয়ে বেড়ান কিম। সশস্ত্র মার্সিডিজ : অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মার্সিডিজে চড়ে রাষ্ট্রীয় সফরে যান কিম। এস৬০০ মডেলের এই গাড়ির মূল্যমান ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার।
স্ত্রীর জন্য দামি সব উপহার : বিয়ের পর থেকে স্ত্রী রি সোন-জুনের জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থে একের পর এক উপহার কিনে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের যে হাতব্যাগ মিসেস উন ব্যবহার করছেন, তার মূল্য স্থানীয় শপিং সেন্টারে ১ হাজার ৪৫৭ ডলার। এই দাম একজন উত্তর কোরীয়র বার্ষিক আয়ের সমান, যা ১ হাজার ৮০০ ডলারের বেশি না।
নিজস্ব সিনেমা হল : উনের সিনেমা দেখার জন্য আছে এক হাজার আসনবিশিষ্ট আলাদা একটি বিলাসবহুল সিনেমা হল।
প্রাসাদের সমাহার : কিম জং উন কোথায় থাকেন এর কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়াটা কষ্টকর। কারণ দেশজুড়ে তার ১৭টা প্রাসাদ তো আছেই, আছে একটা নিজস্ব দ্বীপও। রয়েছে স্কি রিসোর্ট। নিজস্ব জেট তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে নিজের জন্য আলাদা রানওয়ে। তার প্রায় প্রতিটি প্রাসাদের পাশেই নিজস্ব রানওয়ের ব্যবস্থা আছে।
ঘড়ির বাতিক : কিম জং উনের ব্যক্তিগত ঘড়ির সংগ্রহের মোট দাম প্রায় ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
খেলাধুলার শখ : গলফ খেলার প্রতি পিতা কিম জং ইলের মতো আকর্ষণ কিম জং উনের। এই আহ্লাদ মেটাতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বছরে ৫ লাখ ডলার ব্যয় হয়। ঘোড়দৌড়েও কিম জং উনের দুর্দান্ত আকর্ষণ। তাই রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে উন্নত জাতের ঘোড়া উৎপাদন ও তত্ত্বাবধানের খরচ বহন করা হয় বিস্তর অর্থ।
উত্তর কোরিয়ার অদ্ভুত যত নিয়ম
*উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের নামে নাম রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০১১ সাল থেকেই এ নির্দেশ বহাল আছে। দেশটির সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে, কোনো নবজাতকের নাম কিম জং উন রাখা যাবে না। যাদের এ নাম আছে, তাদের জন্মসনদ সংশোধন করতে হবে।
*কিম জং উনের দেশে রয়েছে ‘তিন পুরুষের শাস্তি’র বিধান। এই আইনে একজন ব্যক্তির অপরাধে গোটা পরিবারকে আটক করার বিধান আছে। দাদার কোনো অপরাধের শাস্তি নাতিকেও ভোগ করতে হতে পারে।
*সাধারণ নাগরিকদের নেই একটি ব্যক্তিগত মুঠোফোন ব্যবহারের অধিকার। পাবলিক ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের সামান্য সুযোগ আছে।
*উত্তর কোরিয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট নিষিদ্ধ। অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ স্বল্প সময়ের জন্য কিছু নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে। সরকারি অনুমোদন আছে এমন এক হাজারটি সাইট শুধু তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কে চলতে পারে।
*দেশটিতে প্রতিদিনকার পেশার বাইরে কারখানায় বা কোনো বিক্রয়কেন্দ্রে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের দিতে হয় ঘুষ। এত পরিশ্রম আর ঘুষ দেওয়ার পরও মাসে আয় ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ ডলারের বেশি ওঠে না।
*২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ার সব সংবাদে দেখানো হয় তাদের দেশ ব্রাজিলকে ফাইনালে ৮-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়! মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তারা খেলার সুযোগই পায়নি। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাদের মিডিয়া প্রচার করে তারা ২০১০ বিশ্বকাপে পর্তুগালকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে! অথচ বাস্তবে ঘটেছিল উল্টো। পর্তুগাল তাদের হারিয়েছিল ৭-০ গোলে! এই পরাজয়ের কারণে, ওই দলের সব খেলোয়াড় ও কোচদেরও বন্দি করে লেবার ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
*দেশের নাগরিকদের মধ্যে ‘বেসিক’, ‘কমপ্লেক্স’ ও ‘হোসটাইল’ এ তিনটি স্তর রয়েছে, যাদের দেশের রাজধানীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
*সেখানকার নারীদের জন্য রাষ্ট্রের নির্ধারিত ১৪টি চুলের স্টাইল রয়েছে। পুরুষরা ৫ সেন্টিমিটারের বেশি ও ২ সেন্টিমিটারের কম চুল রাখতে পারে না। দেশে মোট ২৮ ধরনের চুলের স্টাইল নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে।
*নীলরঙা জিন্স উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ। কারণ এই জিন্স মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে প্রতিনিধিত্ব করে!
*উত্তর কোরিয়ায় লেবার ক্যাম্প আছে ১৬টি। যেখানে দুই লাখ বন্দি করুণ জীবনযাপন করে, যা সবচেয়ে বাজে দুঃস্বপ্নের চেয়েও বেশি নির্মম। লেবার ক্যাম্পের বন্দিরা খাবার পায় না, কাজ করতে হয় ২৪ ঘণ্টা।
২৫/৪/২০১৭/১৩০/অ/হা/