অপূর্ব হাসান, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য আপনার খাদ্যের ৮০ শতাংশ ক্ষারীয় উপাদান হতে হবে। অ্যালকালাইন বা ক্ষারীয় গুণ সম্পন্ন খাবারগুলোর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করা ছাড়াও আরো যে উপকারিতাগুলো আছে তা হল – শরীরে ল্যাকটিক এসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে, pH এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ও মিনারেলের শোষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে বলে এ জাতীয় খাবার খাওয়া অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে মানুষ অনেক অস্বাস্থ্যকর ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খায়। সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অনেকবেশি প্রয়োজন। যখন আপনি উচ্চমাত্রার এসিডিক খাবার খাবেন তখন আপনার শ্বাসকষ্ট, বন্ধ্যাত্ব, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ ইত্যাদি রোগ হতে পারে। আজকের ফিচারে আমরা এমন কিছু অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবারের কথাই জানবো যা আপনাকে সুস্থ ও শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে।
১। পাকা কলা, জাম, অ্যাভোকাডো, গাজর, রসুন, সেলেরি ও খেজুর
এই খাবারগুলোতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এদের pH এর মাত্রা ৮। খেজুর, জাম জাতীয় ফল এবং রসুনে এমন উপাদান থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২। আলফা আলফা এর অংকুর, মিষ্টি আপেল ও এপ্রিকট
এই খাবারগুলো ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং খুব সহজেই হজম হয়। এরা এনজাইম এ পরিপূর্ণ এবং শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। আপনি যদি রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনার ডায়েটে এই খাবারগুলো যোগ করুন।
৩। মিষ্টি আঙ্গুর, নাশপাতি, আনারস, কিশমিশ এবং সবজির রস
এই ফলগুলোর pH এর মাত্রা ৮.৫ এবং ভিটামিন এ, বি ও সি এর পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলো রক্ত পরিচালনায় প্রভাব ফেলে বলে রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। কোষীয় ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সবজির রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কারণ এরা আয়রনে সমৃদ্ধ।
৪। ফলের রস, কিউই
এগুলো ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ এবং এদের pH – ৮.৫। এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা হজমের সময় এসিডিক যৌগ গঠন করে না। বস্তুত এদের মধ্যে এমন উপাদান থাকে যা ক্ষারীয় গঠনকে উদ্দীপিত করে এবং অনেক শক্তি প্রদান করে।
৫। আম, লেবু জাতীয় ফল, তরমুজ, পার্সলে ও পেঁপে
এই ফলগুলো কিডনি পরিষ্কারে ভালো কাজ করে। পেঁপে কোলন পরিষ্কারে সাহায্য করে। পার্সলে যখন কাঁচা খাওয়া হয় তখন তা অন্ত্রের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে বলে কিডনি পরিষ্কারেও ভূমিকা রাখে। আম, লেবু এবং তরমুজ ভিটামিনে সমৃদ্ধ এবং হজমের সময় ক্ষারীয় গঠন তৈরি হয়।
৬। ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম এ সমৃদ্ধ। উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ থাকে ক্যাপসিকামে যা অসুস্থতা ও স্ট্রেস সৃষ্টির কারণ ফ্রি র্যাডিকেলকে দূর করতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও থাকে।
গাড় ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে আপনার শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য যা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।