মনির জামান, ডেস্ক রিপোর্ট ,বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
সভ্যতার জন্য মূল্য দিতে চলেছে মানুষ। এতে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের আকাশ! নতুন এক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমন পিলে চমকানো এক তথ্য- বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষ রাতের আকাশ দেখতে পাবে না। আর এর জন্য দায়ী হলো আলোদূষণ। ইতালির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের প্রধান লেখক ফাবিও ফালখি বলেন, এটা সমগ্র বিশ্বের কাছে বড় মাপের ক্ষতি।
জার্মানির পোস্টড্যাম শহরের রিসার্চ সেন্টার ফর জিও সায়েন্সের গবেষকরা সম্প্রতি পৃথিবীতে আলোদূষণ এবং এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৬০ শতাংশ ইউরোপবাসী ও ৮০ শতাংশ উত্তর আমেরিকার মানুষ রাতের আকাশ দেখতে পাবে না। দেখা যাবে না কোনো নক্ষত্রপুঞ্জ। পৃথিবীর এসব অঞ্চলের রাতের আকাশ দিনের স্বাভাবিক আকাশের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল থাকে। সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও মালতার মতো দেশের মানুষও থাকবে রাতের প্রাকৃতিক আকাশ থেকে বঞ্চিত। চীনের হংকং, বেজিং, আমেরিকার পূর্ব উপকূলের দেশ এবং কাতার, নেদারল্যান্ডস, ইজ়রাইল, বেলজ়িয়ামের ৫২ শতাংশ মানুষ দেখতে পাবে না ছায়াপথ।
উন্নত দেশগুলোতে আলোর অত্যধিক ব্যবহারের ফলে এমনটা হতে চলেছে বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। প্রত্যেক দেশে এখন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী কৃত্রিম আলো ব্যবহার করা হয়। যার ফলে আলোদূষণের মাত্রা বাড়ছে। যার প্রভাবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে অভিমত গবেষণায়।
এলসিডি, এলইডি-র মতো আধুনিক আলোর ব্যবহারে প্রকৃতির আলো হারিয়ে যাচ্ছে। লাইটপোস্ট, বাড়ির আলো বা শহরে ব্যবহৃত হচ্ছে বড় আলোর সমাহার। পরিমাণ অল্প হলে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। পরিমাণ বেশি হলে কৃত্রিম আলো জমে আকাশ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আলোর পরিমাণ বেশি হলে, সেটাকেই বলা হয় আলোদূষণ, যা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
গবেষকদের মতে, নগরের উজ্জ্বল আলোর কারণে অনেক রাতের প্রাণীর অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। আর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক জটিলতায়। স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ নষ্ট করবে এই আলোদূষণ।
১৩/৪/২০১৭/৬০/