অপূর্ব হাসান, স্টাফ রিপোটার, বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
আজ বুধবার ১২ এপ্রিল। সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস। সৈয়দপুরবাসীর জন্য এ দিনটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারান সৈয়দপুর শহরের প্রায় দেড় শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। তাই সৈয়দপুরবাসী সেই সব শহীদের স্মরণ করছেন গভীর শ্রদ্ধাভরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে।
দিনটি পালনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ৭১ সৈয়দপুর জেলা কমিটির দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলেও সৈয়দপুরে ধ্বংসজজ্ঞ শুরু হয়েছিল দুদিন আগে ২৩ মার্চ। এদিন এখানে শুরু হয় প্রত্যক্ষ লড়াই। গভীর রাতে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা সৈয়দপুর শহরের নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ।
ওইদিন অনেকে সর্বস্ব ফেলে পরিবারপরিজন নিয়ে পালিয়ে যান সৈয়দপুর শহর থেকে। আশ্রয় নেন শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। অনেকে আবার আটকা পড়েন শহরে। আটকে পড়া বাঙালিদের ফেলে সেদিন তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমএলএ) ডা. জিকরুল হকসহ অনেকে সৈয়দপুর শহর ছাড়তে রাজি হননি।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাদের একটি কনভয় দল ডা. জিকরুল হকসহ প্রায় ১৫০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় সৈয়দপুর সেনানিবাসে। এরপর সেখানে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ওপর দীর্ঘ ১৯ দিন চালানো হয় নির্মম শারীরিক অত্যাচার-নির্যাতন। ১২ এপ্রিল স্বাধীনতাকামী এসব মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয় সৈয়দপুর থেকে ৪০ কি.মি দূরে রংপুর সেনানিবাসের দক্ষিণে উপশহর নিশবেতগঞ্জ এলাকায় ঘাঘট নদীর বালুচরে। সেখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করে মেশিনগানের ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে তাদের হত্যা করা হয়।
১২/৪/২০১৭/৩০/অ/হা/