ডেস্ক রিপোর্ট ,বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
সিরিয়ার হোমস প্রদেশে বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে গতকাল শুক্রবার ভোররাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় বেসামরিক নাগরিক ও সেনাসহ অন্তত ৬ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ এনে, এর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই অভিযান পরিচালনার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হামলাকে আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছে সিরিয়া সরকার।
হোমসে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করার পাশাপাশি, এই ঘটনা রুশ-মার্কিন সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ার স্থানীয় সময় গতকাল গতকাল শুক্রবার ভোররাতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে হোমস নগরী। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে হোমসের শায়রাত বিমানঘাঁটিতে মোট ৫৯টি টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইদলিবে আসাদ সরকারের রাসায়নিক হামলার জবাবে সিরীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। কোনো বেসামরিক অবস্থানে এই হামলা চালানো হয়নি উল্লেখ করে পেন্টাগন জানায়, হামলার বিষয়ে রাশিয়া ও সিরিয়াকে সতর্ক করা হলেও তাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা হয়নি।
পরে ফ্লোরিডার মারে লাগো রিসোর্টে গণমাধ্যমের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি সিরিয়ার ঐ বিমানঘাঁটিতে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। সিরিয়ার রক্তপাত বন্ধে সব রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ্তুজাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিধিমালা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সিরিয়া এই বর্বর রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। তাই আমি সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলার নির্দেশ দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রশাসন সিরীয় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। সিরিয়ার রক্তপাত বন্ধ করতে, সন্ত্রাস দমনে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের পাশে সব শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র থাকবে বলে আশা করছি। মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে তীব্র সমালোচনা করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ।
৮/৪/২০১৭/২৭০/সা/ফা/