ডেস্ক রিপোর্ট ,বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
শারীরিক-মানসিক, পারিবারিক, আর্থিক-পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন সমস্যার জন্যে প্রার্থনা ও দান গোপন অস্ত্র হিসাবে কাজ করে।
নিরাময়ের সাথে প্রার্থনার গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং দান বিভিন্ন বালা মুছিবত দূর করে সাফল্যের পথকে ত্বরান্বিত করে।
জীবন চলার পথে প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ-শোক ও সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। অনেক সময় আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না কীভাবে এগুলো থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবো। এসব রোগ থেকে, সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি আমরা যদি নিয়মিত প্রার্থনা ও দানে নিজেদের অভ্যস্ত করতে পারি তাহলেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আসলে প্রার্থনা যদি একাগ্রচিত্তে করা হয় তাহলে তা মানুষের রোগ-শোক, সমস্যামুক্তিতে ভূমিকা রাখতে পারে। প্রার্থনা সম্পর্কে সূরা আল-মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমাকে ডাক, আমিই তোমাদের দোয়া কবুল করবো।’ পবিত্র বাইবেলে বলা হয়েছে-যীশু বললেন, ‘প্রার্থনায় যা কিছু তোমরা চাও, বিশ্বাস করবে তা পেয়েছো, তাহলে তা-ই পাবে।’ [মার্ক ১১:২৪]।
নিরাময়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের-
১.ধ্যানের স্তরে মমতাপূর্ণ প্রার্থনা।
ধ্যানের স্তরে মমতাপূর্ণ প্রার্থনার কারণে লাখো মানুষ নিরাময় লাভ করেন বা সমস্যা থেকে মুক্তি পান। আসলে প্রার্থনা যে সমস্যামুক্তিতে, নিরাময়ে ভূমিকা রাখে এ প্রসঙ্গে নবীজী (স) বলেছেন, প্রতিটি রোগের নিরাময় রয়েছে। নিরাময়ের জন্যে ওষুধ ছাড়াও তিনি দোয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, প্রার্থনা দেহকে ব্যাধিমুক্ত করে। ঋগ্বেদে রোগ-ব্যাধি ও পঙ্গুত্ব থেকে মুক্ত থাকার জন্যে প্রার্থনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
২. সাদাকা
একাগ্র প্রার্থনার সাথে যদি দানকেও যুক্ত করা যায় তাহলে প্রার্থনার সুফল আরো ভালোভাবে পাওয়া যায়। মহানবী (সাঃ)বলেছেন, ‘‘দান অকল্যানের ৭০টি দরজা বন্ধ করে দেয়’’। সামর্থ্য অনুসারে সকলেরই দান করা উচিত।
৩. বিশ্বাস
বিশ্বাস নিরাময়ের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। এমনকি ওষুধ বা সার্জারিও যে কার্যকর হয়, তার মূল কারণ রোগীর বিশ্বাস। প্রার্থনার মাধ্যমে রোগীর মধ্যে যখন বিশ্বাস সঞ্চারিত হয়, তখন শুরু হয় রোগমুক্তির প্রক্রিয়া।
১৯৯৫ সালে ডার্টমাউথ মেডিকেল স্কুলে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে এমন ২৩২ জন রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, যারা তাদের নিরাময়ের জন্যে স্রষ্টার ওপর বিশ্বাস করতেন অপারেশনের ছয় মাস পরে অন্যদের তুলনায় তাদের বেঁচে থাকার হার ৩ গুণ বেশি। এজন্যে যিনি যত বিশ্বাস নিয়ে নাম দেবেন তার নিরাময় প্রক্রিয়া তত কার্যকরী হবে।
তবে বিশ্বাস এটি অবশ্যই ১০০ ভাগ হতে হবে। পরিপূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে যখন প্রাথর্নাকারী এবং প্রার্থনাকবুলকারী একাকার হয়ে যান তখনই নিরাময় প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়।
৫/৪/২০১৭/১৭০/তৌ/আ/