ডেস্ক রিপোর্ট ,বাংলারিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মহাস্থান এলাকায় করতোয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে নদী খনন করার ফলে ৫০ একর জমির বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। এতে করে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান মহাসড়কের সেতুর কাছ থেকে রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের মসজিদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার করতোয়া নদী খননের কাজ শুরু করেছে সরকার। এজন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনন্তবালা মসজিদের কাছে নদীতে বাঁধ দিয়ে খননকাজ শুরু করা হয়। মহাস্থান সেতুর কাছ থেকে উত্তর দিক ধরে খনন শুরু হয়েছে। বর্তমানে শীলাদেবী ঘাট ও জাদুঘরের সামনে মনিতলা পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। এ দিকে গত ক’দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে বাঁধ দেয়া অংশের উত্তরে পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নিচু এলাকার বোরো ধান, ভুট্টাক্ষেত, মিষ্টি আলু, মুলাসহ প্রায় ৫০ একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
রায়নগর ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান খোকন, অছিতুল্লাহ পুটু মিয়া জানান, তাদের প্রত্যেকেরই এক থেকে দেড় বিঘা জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। আবিলম্বে বাঁধটি অপসারণ করা না হলে ওই অঞ্চলের সব বোরো জমি থলিয়ে যাবে। এতে করে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ কর্মীরা বিষয়টি সরেজমিনে দেখে জানানোর পর গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মো. শাহনেওয়াজকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, পারি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে ক্ষতির পরিমানও বাড়ছে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, নদী খননের কাজ শেষ হতে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন লাগবে। বর্তমানে ৫টি স্কেভেটর যন্ত্র দিনভর কাজ করছে। এই মুহূর্তে বাঁধটি অপসারন করা হলে পানি জমে খনন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ঠিকাদার বিকল্পভাবে একটি পাইপ বসিয়ে ধীরে ধীরে পানি নিষ্কাশন করছে।
৪/৪/২০১৭/২৪০/তৌ/আ/