উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। গত
রোববার সন্ধ্যায় থেকে তিস্তার ঢলে নীলফামারী ও লালমনিররহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উজানের ঢলের কারণে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী মৌজার আশপাশে কয়েক হেক্টর জমিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিস্তা নদীটি টেপাখড়িবাড়ী মৌজার চরখড়িবাড়ী এলাকা নিয়ে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করে। ফলে উক্ত এলাকায় ভুট্টা, বাদাম, মরিচ. পেঁয়াজ, রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন নিশ্চিত করেন।
গত দুইদিনে আগে তিস্তা মরুভূমিতে থাকলেও ভারতে উজানে বন্যার কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে ৪৪টি সস্নুইচ গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
পাউবো সুত্র বলছে রোববার থেকে সোমবারের পানি প্রবাহ বেড়েছে দশমিক ৭৫ মিটার। গত রোববার দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে রোববার পানিপ্রবাহ ৫০ দশমিক ২৫ মিটার থাকলে সোমবার দুপুর ১২টায় তা বেড়ে ৫১দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার হয়।
উজানের ঢলের কারনে তিস্তায় ঘোলা পানির সাথে কুচুরীপানা আসায় এলাকাবাসী ধারনা করছে উজানে বন্যার কারণে পানির গতি তীব্র রয়েছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন এই প্রতিবেদককে বলেন, উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যার কারনে টেপাখড়িবাড়ী মৌজার চরখড়িবাড়ী গ্রামসহ আশেপাশের ১০টি গ্রামের বন্যার পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি তলিয়ে গেছে মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত। এছাড়া এলাকায় ভুট্টা ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাউবোর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী এই প্রতিবেদককে বলেন, আকস্মিক বন্যার কারণে তিস্তার উজানে চরাঞ্চলের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।